মাথা ব্যাথা নামের এই যন্ত্রনাটি সবার মধ্যেইএক ধরনের বিরক্তি তৈরী করে থাকে। বিশেষ করে হুটহাট করে যেই ব্যাথাটি হয়ে থাকে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে হয়ত দেখলেন যে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে এবং মাথায় চাপ ধরে আছে অথবা কাজ করতে করতে হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায় এই অলুক্ষুনে ব্যাথা। বিশেষ করে মাথার এক পাশে ও হঠাৎ করে যেই ব্যাথাগুলো হয়ে থাকে এদের মাইগ্রেন এর ব্যাথা বলে। যদি আপনার মাথায় এক পাশে ব্যাথা শুরু হয়ে ব্যাথা আস্তে আস্তে সম্পুর্ন মাথায় ছড়িয়ে পরে, মাঝে মাঝে ব্যাথার সাথে বমি বমি ভাব হয়, শারীরিক দুর্বলতা অনুভুত হয়, চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন তাহলে এটি মাইগ্রেন এর ই লক্ষন। কখনো কখনো এই ব্যাথা অনেকক্ষণ স্থায়ী হয় আবার কখনো কখনো ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে কমে যায়। এটি বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে, কারো বংশগত, আবার কারো মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেনের ব্যাথা শুরু হওয়ার কিছু কারন এবং এর কিছু প্রতিকার।
আর নয় মাইগ্রেন এর ব্যাথাঅনেকে কাজের চাপে খাওয়া দাওয়া ঘুম সব বাদ দিয়ে শুধু কাজ নিয়ে পড়ে থাকে। অনেক সময় অতিরিক্ত কাজের চাপে মাইগ্রেন এর ম্যাথা অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারন মানসিক চাপ বেশী পড়লে এটি স্নায়ু ও মস্তিস্ক দুটোর উপরই অনেক চাপ ফেলতে পারে। এতে শুধু মাইগ্রেনই নয় হার্ট এটার্ক পর্যন্ত হতে পারে। তাই কাজ অথবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে সেটা কারো সাথে শেয়ার করুন এবং অতিরিক্ত চাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন এবং লেবু চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটা মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম অথবা প্রয়োজনের বেশী সময় ধরে ঘুম মাইগ্রেনের ব্যাথার অন্যতম কারন হতে পারে। অনেকেই রাত জেগে ফেসবুকিং অথবা কাজ করে এবং সকালে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকে। এটা কখনোই ঠিক নয়। কারন প্রতিদিন একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। এর বেশী ঘুমালে অথবা বেলা করে শুয়ে থাকলে ব্যাথা হতে পারে। তাই যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তাদের কখনো বেলা করে ঘুমানো উচিত নয়।
মাইগ্রেন এর ব্যাথা যাদের আছে তাদের কখনো খালি পেটে থাকা উচিত নয়। অনেকে ওজন কমানোর জন্য সকালে নাস্তা করে না। কিন্তু এটা কখনোই উচিত নয়। কারন সকালের নাস্তা না করলে ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিন পেট ভরে সকালের নাস্তা করুন এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
অনেক সময় মাইগ্রেন এর ব্যাথা হলে কফি খেলে ব্যাথা অনেক কমে যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাথা বেড়ে যায়। এর কারন হচ্ছে যারা প্রতিদিন অতিরিক্ত কফি খেতে অভ্যস্ত তারা কফি খেলে একটু পর শরীর থেকে ক্যাফেইন এর পরিমান কমে যেতে থাকে। এ থেকেও মাইগ্রেন এর ব্যাথা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চা কফি গ্রহন থেকে বিরত থাকুন।
উচ্চ শব্দে মিউজিক মাইগ্রেন এর ব্যাথার একটা অন্যতম কারন হতে পারে। অনেক সময় বাসে অনেকক্ষন বসে থাকতে থাকতে গাড়ির হর্ন এর শব্দ, উচ্চ শব্দে মিউজিক এর কারনে মাইগ্রেন এর ব্যাথা হতে পারে। তাই যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তারা উচ্চ শব্দে গান শোনা এড়িয়ে চলুন।