আঁচিল দূর করার উপায় কি?
আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ। ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত বৃদ্ধি পায়। এটি ভাইরাল ওয়ার্টস এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা শরীরে সংক্রমিত হয়।
আঁচিল দূর করার উপায়……
সার্জিক্যাল উপায় :
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আঁচিল দূর করা হয়। এটাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার :
বাড়িতে বসে আঁচিল দূর করতে পারেন। এক টুকরো তুলায় অ্যাপল সিডার ভিনেগার নিয়ে আঁচিলের উপর রেখে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। এভাবে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহার করুন যতদিন না আঁচিল দূর হয়।
৫% আয়োডিন :
সকালে এবং রাতে এক ফোটা করে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখুন। ১ সপ্তাহের মধ্যেই আঁচিল উঠে আসবে।
রসুন :
আধা কোয়া রসুন আঁচিলের উপর রেখে সারারাত ব্যান্ডেজ করে রাখুন। কিছুদিন পর আঁচিল রিমুভ হবে।
কলার খোসা :
কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের উপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।
বেকিং সোডা আর ক্যাস্টর অয়েল :
এক চিমটি বেকিং সোডার সাথে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে আঁচিলের উপর সারারাত রাখুন। কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল দূর হবে।
স্ট্রবেরি :
আঁচিলের উপর স্ট্রবেরি কেটে লাগিয়ে রাখুন। কিছুদিন ব্যবহারে আঁচিল মিলিয়ে যাবে।
আঙ্গুরের রস :
কিছু আঙ্গুর নিয়ে রস করে আঁচিলের উপর লাগান প্রতিদিন, কয়েকবার করে। এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল থেকে মুক্তি পাবেন।
কিছু টিপস এবং সতর্কতা :
– যেকোন একটি উপায় মেনে এক সপ্তাহ দেখুন। যদি এর মধ্যে অপসৃত না হয়, তবে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করুন। কেননা ব্যক্তিভেদে পদ্ধতি পার্থক্যের সৃষ্টি করে। আপনার সাথে মানিয়ে যায়, এমন পদ্ধতি বাছাই করে নিন।
– একটু সময় লাগলেও ধৈর্য্ ধরে চর্চা করুন।
– পটাশিয়াম খুব ভালো কাজ করে। উপরের পদ্ধতি গুলোর অধিকাংশই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ।
– আঁচিল কখনই খোঁচাখুঁচি করবেন না। এতে রক্তপাত হবে এবং পুনরায় ওই স্থানে আঁচিল হবে।
– সার্জিক্যালভাবে করতে গেলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই করুন।
আঁচিল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে, যদি রিমুভ করতে চান সেক্ষেত্রে ঘরে বসেই করতে পারেন আবার চিকিৎসকের পরামর্শ-ও নিতে পারেন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই এক্ষেত্রে ভালো। যদি ক্যান্সারের লক্ষণ বলে মনে করেন, তবে চিকিৎসকের সাহায্য গ্রহণ করুন।